পরিচিতি
বাংলা নামঃ লালশাক
ইংরেজী নামঃ Red
amaranth
বৈজ্ঞানিক নামঃ
Amaranthas gangetica
পরিবারঃ Amaranthaceae
লাল রঙ-এর শাক দেখতে যেমন সুন্দর খেতেও সুস্বাদু| সারাবছর ধরে চাষ করে এ
শাক খাওয়া যায়। এ শাক বেশ পুষ্টিকর ও
ক্যারোটিন সমৃদ্ধ
লালশাকের
জাত
লালশাকের
উন্নত জাত বারি লালশাক-১।
মাটি
সুনিস্কাশিত
বেলে দো-আঁশ থেকে এটেল দোআঁশ মাটিতে লাল শাক সবচেয়ে ভাল জন্মে। এঁটেল দো-আঁশ মাটিতেও এর চাষ করা যায়।
বীজ বপন ও এর সময়
বীজ বপনের সময়
সারাবছরই চাষ করা যায়। তবে আষাঢ়-শ্রাবণ
মাসের অতি বর্ষণের সময় ফসল ভাল হয় না।
বীজ বপন
ছিটিয়ে অথবা সারিতে বীজ বোনা যায়। জমি ভালভাবে সমান করে একভাগ বীজের সাথে ৯
ভাগ শুকনা ছাই অতবা বালি মিশিয়ে হালকাভাবে ছিটিয়ে বুনতে হয়। এরপর একটি হালকা চাষ ও
মই দিয়ে মাটির সাথে মিশিয়ে দিতে হয়।
বপন দূরত্ব
সারি অথবা লাইনে ১৫-২০ সেঃ মিঃ দূরে দূরে কাঠির সাহায্যে ১.৫-২.০সেঃ
মিঃ গভীর লাইন টানতে হবে।
বীজের হার
সারিতে
বুনলে ১.০-১.৫কেজি/হেঃ এবং ছিটিয়ে বুনলে ২.০-২.৫
কেজি /হেঃ
সারের পরিমান
সারের পরিমান নিচের ছকে দেখানো হলঃ
|
সারের নাম (কেজি/হেঃ) |
সারের পরিমাণ
|
|
ইউরিয়া |
২২০
কেজি |
|
টিএসপি |
৭০
কেজি |
|
এমপি |
৬০
কেজি |
|
গোবর |
৫
টন |
সার ব্যবহারের নিয়ম
অল্প দিনের ফসল বিধায় সব সার বীজ বোনার আগে মাটির সাথে মিশিয়ে দিতে হবে। তবে চারার বয়স ১০-১২ দিন হওয়ার পর ইউরিয়া উপরিপ্রয়োগ প্রয়োগ করলে ভাল ফলন পাওয়া যায়।
পরিচর্যা
ঘন জায়গা থেকে চারা তুলে পাতলা করে দিতে হবে। ২-৩
সপ্তাহ পর চারা পাতলা করলে কচি শাক খাওয়া যায়। মাটিতে
রসের অভাব হলে মাঝে মধ্যে সেচ দেয়া ভাল। প্রয়োজনে
আগাছা পরিষ্কারসহ মাটি আলগা করে দিতে হয়।
বালাই দমন
পোকামাকড় দমন
শুয়া পোকা
এ
পোকা গাছের পাতা খেয়ে সমুহ ক্ষতি করে থাকে।
ম্যালাথিয়ন ৫৭
ইসি, রক্সিয়ন ৪০
ইসি, ইকালাক্স ২৫
ইসি ঔষধগুলোর যেকোন একটি ১.১ লিটার পানিতে মিশিয়ে এক হে: জমিতে সেপ্র করতে হবে।
রোগবালাই
মরিচা রোগ
এ
রোগ গাছের শিকড় ছাড়া সকল অংশকেই আক্রমণ করে। সাদা অথবা হলুদ দাগ পাতার নিচে দেখতে পাওয়া যায়। পরে সেগুলো লালচে বা মরিচা রং ধারন করে এবং পাতা মরে যায়।
প্রতি লিটার পানিতে ১.৫ গ্রাম ডাইথেন এম - ৪৫
ঔষধ মিশিয়ে সেপ্র করতে হবে।
ফসল সংগ্রহ ও ফলন
ফসল সংগ্রহ
বীজ বোনার একমাস পর শাক খাওয়ার উপযুক্ত হয়।
ফলন
প্রতি শতকে ২০-২৪ কেজি, হেক্টরপ্রতি ৫-৬ টন।